যে গ্যাস আগুন নিভিয়ে দেয়

আগের পরীক্ষায় তো জানলে অক্সিজেন আগুন জ্বলতে সাহায্য করে। অর্থাৎ আগুনের বন্ধু হলো অক্সিজেন। আগুনের শত্রুও আছে। এসো পরীক্ষা করে দেখি আগুনের শত্রু কে।

তোমায় যা যা সংগ্রহ করতে হবেঃ খালি দুধের বোতল, ভিনিগার, কাপড় কাচার সোডা, তিনটে-চারটে বিভিন্ন দৈর্ঘের মোমবাতি, রবারের সরু পাইপ একফুট লম্বা (এর মুখের মাপ বোতলের মুখের মাপের চেয়ে কম), বোতলের চেয়ে কম উচ্চতার ডেকচি, কেরোসিন ঢালার ফানেল, তোমার মায়ের সাহায্য।
এবার যা যা করবেঃ ডেকচির ভেতর মায়ের সাহায্যে মোমবাতিগুলো খাড়াভাবে বসাও। কেরোসিন ঢালার ফানেলের পেছনের মুখে রবার পাইপকে শক্ত করে আটকাও। বোতলের মাঝামাঝি পরিমান ভিনিগার ঢালো। তার মধ্যে কিছু পরিমান সোডা ফেলে দাও। দেখবে সঙ্গে সঙ্গে বুদবুদ তৈরি হতে শুরু করেছে। এখন মোমবাতি গুলো জ্বালিয়ে দাও। রবার পাইপের খোলা দিককে ডেকচির মধ্যে রেখে ফানেলের মুখকে বোতলের মুখে চেপে ধরো। মোমবাতিগুলোকে লক্ষ্য করো। দেখবে সবচেয়ে ছোট মোমবাতি টি আগে নিভে গেল, তারপরে ওর চেয়ে বড়টা নিভলো। এই ভাবে একএক করে মোমবাতি নিভে যাবে।

কেন এমন হয়ঃ ভিনিগার আর সোডা বিক্রিয়া করে কার্বণ ডাই অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে।  এই গ্যাস বুদবুদের আকারে বোতলের মধ্যে বেরিয়ে আসতে দেখেছো। তারপর এই গ্যাস কোথায় যাছে? বোতলের মুখে ফানেলকে চেপে ধরার জন্য তা রবার পাইপের মধ্য দিয়ে ডেকচির মধ্যে তার উচ্চতাও তত বাড়বে। এই ভাবে বারতে বারতে যখন প্রথম মোমবাতি এই গ্যাসের মধ্যে ডুবে গেল তখন সে নিভে গেল। এই ভাবে এক এক করে বাকী মোমবাতি গুলি নিভে যাবে। এই পরীক্ষা থেকে দুটো জিনিষ আমরা জানলাম। ১) কার্বণ ডাই অক্সাইড বায়ুর চেয়ে ভারী গ্যাস, আর ২) এই গ্যাস আগুন নিভিয়ে দেয়।


সংকলনঃ 'খেলার ছলে বিজ্ঞান'
সম্পাদকঃ নীরদবরন হাজরা
মূল রচনাঃ জয়ন্ত রায়

No comments:

Post a Comment